সকালে খেজুর খেলে বিষক্রিয়া হয় না? SOKALE KHEJUR KHELE BISOKRIYA HOY NA
মূল দাবি: নবী মুহাম্মদের একটি হাদিস অনুসারে, সকালে সাতটি উৎকৃষ্ট খেজুর খেলে তা সারাদিনের জন্য বিষক্রিয়া প্রতিরোধ করে।
বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা: এই দাবিটি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, কিন্তু এটি পটাশিয়াম সায়ানাইডের মতো মারাত্মক ও দ্রুত কার্যকরী বিষের রাসায়নিক প্রতিষেধক (antidote) নয়। যদি খেজুর সত্যিই সর্বজনীন বিষ প্রতিরোধক হতো, তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিষক্রিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এটিই ব্যবহৃত হতো, যা কখনোই দেখা যায় না।
বাস্তবতার পরীক্ষা: এই হাদিসের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপনকারী কোনো ব্যক্তিকেও যদি সকালে সাতটি খেজুর খেয়ে সামান্য পরিমাণ মারাত্মক বিষ (যেমন: সায়ানাইড) পানের মাধ্যমে এর সত্যতা প্রমাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তবে কেউই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা পরীক্ষা করতে রাজি হবেন না।
উপসংহার: এই দ্বিধা প্রমাণ করে যে, ধর্মীয় বিশ্বাসের অনেক অবৈজ্ঞানিক দাবি মানুষ অন্ধ আনুগত্য বা সামাজিক কারণে মুখে মেনে নিলেও, বাস্তবতার মুখোমুখি হলে তারা ঠিকই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেন। খেজুরকে বিষের প্রতিষেধক মনে করা একটি অসার কুসংস্কার, যা বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা এবং মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিকে অপমানিত করে।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৭৬/ চিকিৎসা
পরিচ্ছেদঃ ৭৬/৫২. আজ্ওয়া খেজুর দিয়ে যাদুর চিকিৎসা প্রসঙ্গে।
৫৭৬৯. সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকালবেলায় সাতটি আজ্ওয়া মাদ্বীনায় উৎপন্ন উৎকৃষ্ট খুরমা) খেজুর খাবে, সে দিন কোন বিষ বা যাদু তার কোন ক্ষতি করবে না। [৫৪৪৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৭০/ খাওয়া সংক্রান্ত
পরিচ্ছেদঃ ৭০/৪৩. আজওয়া খেজুর প্রসঙ্গে।
৫৪৪৫. সা’দ তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না। [৫৭৬৮, ৫৭৬৯, ৫৭৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)
কোন মন্তব্য নেই